বিশেষ প্রতিবেদক বিপ্লব রেজা:
স্ত্রী স্বামীর কাছে এখন আর আবেগ তাড়িত হয়ে কোনো চিঠি লেখে না। অনুরুপ ভাবে তার সন্তানদের কাছে কিংবা কোনো তরুণ তরুণী তার প্রিয় জনের কাছে চিঠি লিখে ডাক বাক্সে দিয়ে আসে না। বর্তমান সময়ের মানুষরা তার প্রিয় জনের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনে এ কাজ সাড়ে, বর্তমান এ ডাক বাক্স যেনো এক সুদুর অতিথ।
একসময় ডাক বক্সের কদর হতো আর আগের মতো এখন আর নেই ডাক বাক্স চিঠি ফেলে দিয়ে কবে তার প্রিয় জন সেই চিঠি পাবেন এই অপেক্ষা এখন আর কেও করে না। মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে প্রিয় জনের কাছে দ্রুত ভাব বিনিময় করা যায় সত্য কিন্তু প্রকৃত অর্থে লিখনের এর মাধ্যমে তার আবেগ তাড়িত ভালোবাসার কথা তাতে তেমন ভাবে ফুটে উঠেনা , প্রিয় জনের হাতে পাওয়ার সেই চিঠি জন্য অপেক্ষা কি যে মধুর তখন কার প্রিয় জন রাই তা অনুভব করতেন। সময় পাল্টে গেছে আধুনিকতার ছোঁয়া য় আমার মানুষ কতা পাল্টে গেছে সময় নষ্ট করে আর কেও যেমন চিঠি লেখেন না তেমন চিঠি অনেক দেরি করে প্রিয় জনের হাতে পোঁছে যাক এটাও কেও চাই না। কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় জনের কাছে হাতে লেখা চিঠি আর জোলুস ছড়ানো ডাক বক্সের কদর, এখন ডাকবাক্সে সরকারি চিঠি পত্র ছাড়া আর কোনো চিঠি পাওয়া যায় না, কথা হয় আমাদের প্রতিবেদক বিপ্লব রেজার সাথে হাতে লেখা চিঠি নিয়ে, ডাক বাক্সে ফেলতে আসা প্রবীণ ব্যক্তি মন্তাজ হোসেনের সাথে তিনি বলেন আমার নাতির ঢাকায় চাকরি করে তার কাছে চিঠি পাঠাতে এখানে এসেছি আমি বাবা আগের মানুষ মোবাইলে মেসেজ দিতে পারিনা মেসেজ কিংবা মোবাইল ফোনে সব কথা বলা সম্ভব হয় না তাই চিঠি লিখে তার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
মেহেরপুর জেলা পোস্ট মাস্টার জানান আগের দিনের মতো চিঠি পত্র আর লেনদেন হয় না । বর্তমান পোস্ট অফিসে পার্সেল বিমা পরীক্ষার খাতা সঞ্চয়পত্রের মত কাজগুলো হচ্ছে।