গাংনী প্রতিনিধি: স্ত্রীর অধিকার পেতে স্বামীর বাড়িতে ধর্ণা দিয়েছেন বিলকিস নামের এক নারী। বুধবার সকাল থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন তিনি। স্ত্রীর অধিকার না পেলে আত্মহত্যার মতো অভিশপ্ত পথ বেছে নিবেন বলেও হুমকী দেন বিলকিস। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের শেখ পাড়ায়।
জানা গেছে, গাংনীর খাসমহল গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের মেয়ে বিলকিস কুষ্টিয়া ক্রিসেন্ট নার্সিং ইন্সটিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বছর দেড়েক আগে তার সাথে পরিচয় ঘটে ছাতিয়ান গ্রামের শওকত মেম্বারের ছেলে সাব্বিরের সাথে। দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বছর খানেক আগে দু’লাখ টাকা দেনমোহরে বিলকিসকে বিয়ে করে সাব্বির।
বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসতে তালবাহানা করে সাব্বির। এসময় তারা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করতো। সম্প্রতি বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলে বিলকিস ছাতিয়ানে এসে সাব্বিরের বাড়িতে ধর্ণা দেয়।
বিলকিস জানান, সাব্বির তার সাথে প্রতারণা করছে। কোন মতেই তাকে বাড়িতে তুলতে চায় না। এখন সাব্বির স্ত্রীর অধিকার দিতে নারাজ।
স্বামী সাব্বির জানায় ভুল করে বিয়ে করেছে সে। এখন কিছু টাকা দিয়ে বিলকিসকে তালাক দিতে চায় সাব্বির।
এদিকে সাব্বিরের বাবা শওকত আলী মেম্বর জানান, ছেলে একা বিয়ে করেছে তাই তিনি এ বিয়ে মেনে নিবেন না। ছেলের কোন অপরাধের ভাগি হবেন না তিনি।
গাংনী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বিট পুলিশিংয়ের একটি টীম ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদকে জানানো হয়েছে। তিনি সামাজিক ভাবে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।