গাংনী প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রী তানিয়াকে ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করেছেন প্রবাস ফেরত স্বামী শাহিনুর রহমান। গতকাল বুধবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে ছুটিতে এসে নিজ স্ত্রীকে বাড়ী ফেরাতে গিয়ে মারধরেরও শিকার হন বলে অভিযোগ করে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শাহিনুর রহমান গত ২৮-১০-২০১৯ ইং তারিখে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পারিবাড়িকভাবে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে তানিয়া খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর স্ত্রীকে নিয়ে উন্নত জীবন-যাপনের জন্য সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান শাহিনুর রহমান। এবং সিঙ্গাপুরে থাকাকালিন সময়ে স্ত্রী তানিয়াকে ৫ লক্ষ টাকার স্বর্ণের গহণা ও বিভিন্ন সময়ে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাঠায়। কিছুদিন আগে বাড়ী ফেরার কথা জানানোর পর থেকেই শশুর-শাশুড়ি তানিয়াকে স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করছেন। ফোনে কথা বুলতে নিষেধসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।
এবিষয়ে শাহিনুর রহমান আরো দাবি করে বলেন, আমার পাঠানো টাকা-পয়সা গুলো শশুর-শাশুড়ি আত্বসাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন। কারণ গতকাল বুধবার সকালে আমি সিঙ্গাপুর থেকে ছুটিতে বাড়ী আসি এবং আমার স্ত্রীকে শশুর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে আনতে গেলে আমার শাশুড়ি ও শশুরা তাকে আসতে দেয়নি। তাকে জোরপূর্বক ঘরে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এসময় সে কান্নাকাটি করলে এবং তাকে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানালে আমার স্বাবালোক স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি। এসময় আমার শশুর খলিলুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে মারধর করে। স্ত্রী ফিরে পেতে এবং বিষয়টির সুষ্ঠ সুরাহার জন্য গাংনী থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কারণ সরকারী আইন অনুযায়ী যে কোন মেয়ে ১৮ বছর পার করলেই স্বালম্বি হিসেবে গণ্য হয়। আমার স্ত্রীর বর্তমান বয়স ১৯ বছর চলছে। তাই যেকোন সিদ্ধান্ত তার নেওয়ার অধিকার সরকার দিয়েছে। তাকে জোর করে আটকিয়ে রাখার একতিয়ার নেই তার পরিবারের। আমার স্ত্রী আমার নিকট চলে আসতে চাচ্ছে আর তার পরিবার তাকে তালাক দেওয়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। তাই পুলিশের মাধ্যমে আশা করি স্ত্রী ও প্রবাসে শ্রমের বিনিময়ে কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পাব।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান জানান, অভিযোগটি এখনও হাতে পায়নি। তবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন প্রবাসীর সাথে এমন আচরণ কাম্য নয়। বিষয়টি গুরুর্ত্ব দিয়ে দেখা হবে।